অধিকাংশ ভ্রমণকারীই অতিরিক্ত জিনিসপত্র নিয়ে ভ্রমণে বের হন, যার অর্ধেকও ব্যবহার করতে দেখা যায় না। অতিরিক্ত ও অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ভ্রমণকালে বহন করা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ভ্রমণটাও বিরক্তিকর হয়ে ওঠে। তাই ভ্রমণের স্মার্ট প্যাকিং সম্পর্কে জেনে নিন...
১. ভ্রমণবান্ধব কাপড়: ঋতু বা আবহাওয়া অনুযায়ী ভ্রমণের কাপড় নির্বাচন করুন।আরামদায়ক পোশাক না পরলে ভ্রমণ আনন্দদায়ক হবে না। তাই ভ্রমণে আরামদায়ক লিনেন বা সুতির কাপড় বেছে দিন।
২. রোল করে কাপড় প্যাক: অল্প জায়গায় বেশি কাপড় গোছানোর সর্বোত্তম উপায় রোল করে কাপড় বাছ করা। ওপরের দিকে থেকে নিচ পর্যন্ত রোল করুন। প্যান্টের ক্ষেত্রে পা একসঙ্গে রেখে কোমর থেকে নিচে রোল করুন। জুতাসহ আনুষঙ্গিক জিনিস স্যুটকেসের একপাশে রাখুন। এতে আপনার কাপড়ের জায়গা কম লাগবে।
৩. প্রথম ব্যবহারের পোশাকটি ওপরে রাখুন: পরিকল্পনা যদি থাকে গন্তব্যে পৌঁছেই ঘুরতে বেরিয়ে পড়বেন, তাহলে কোন পোশাকটি তখন পরবেন সেটি ভাবুন। সে অনুযায়ী অবশ্যই পোশাকটি ব্যাগ বা স্যুটকেসে সবকিছুর ওপরে রাখুন।
৪. ভারী জিনিসপত্র : স্যুটকেস বা ব্যাগ যদি চাকাযুক্ত হয়, তবে ভারী জিনিসপত্র (যেমন– জুতা, বই ইত্যাদি) নিচের দিকে রাখুন। জায়গাটা ব্যাগটিকে সোজা, স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি জিনিসপত্র এলোমেলো করা থেকে বিরত রাখবে।
৫. শুকনো ক্লিনিং ব্যাগ: ঝরনা বা সাগরে ঝাঁপাঝাঁপির পর প্রায় সময়ই কাপড়চোপড় শুকানোর সুযোগ থাকে না। তাই শুকনো পলিথিন বা প্লাস্টিকের ব্যাগ সঙ্গে রাখুন। এতে ভেজা বা অপরিষ্কার কাপড়গুলো সহজে বহন করতে পারবেন। এমনকি পরিষ্কার ও অন্যান্য জিনিসপত্র থেকেও আলাদাভাবে রাখতে পারবেন। ব্যাগ ঝাঁকুনি দিলে বা ওলটপালট হলেও পরিষ্কার-অপরিষ্কার মিশবে না। অতিরিক্ত প্যাকিং এড়িয়ে চলুন।
৬. তরল জাতীয় জিনিসপত্রের ব্যাগ: নিরাপদ পানি, শিশুর তরল খাদ্য, সুগন্ধি বা বডি স্প্রে, ক্লিনজিং, চুলের তেল, আতর ইত্যাদি তরলজাতীয় জিনিসপত্র সহজে ক্যারি করার জন্য একটি আলাদা পরিষ্কার ব্যাগ রাখুন। সুরক্ষার পাশাপাশি তাৎক্ষণিক যেন কাজে লাগাতে পারেন, সে জন্য ছোট আকারের কাঁধ বা ব্যাক ব্যাগে এগুলো রাখার চেষ্টা করুন। পার্সে প্রয়োজনীয় ওষুধ : পার্স, ওয়ালেট বা পকেটে প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ রাখুন। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী দৈনন্দিন ওষুধের পাশাপাশি জ্বর, ঠান্ডা, অ্যালার্জি, এনার্জি জাতীয় ওষুধ রাখুন। সঙ্গে রাখুন স্যালাইনও।
৭. আধুনিক টেকনোলজি সরঞ্জাম: মোবাইল ফোন, ক্যামেরা, চার্জার, হেডফোন, ক্যাবল ইত্যাদি জিনিসপত্র আলাদা একটি ছোট ব্যাগ রাখতে পারেন। যাতে খুব সহজেই আপনার প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারেন।
অতিরিক্ত প্যাকিংয়ের কারণে ব্যাগ ছিঁড়ে বা ভেঙে যেতে পারে। তাই পরিমাণমতো ওজনে ব্যাগ প্যাকিং করুন। ওভার প্যাকিং ব্যাগ স্বাচ্ছন্দ্যে বহন করাও কঠিন। বেড়াতে গিয়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়ার সময় যেন জটিল পরিস্থিতিতে পড়তে না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন।



