১. জাতীয় জরুরি সেবা (৯৯৯): যেকোনো পরিস্থিতিতে বা বিপদে এখন সবচেয়ে জরুরি নম্বর হলো ৯৯৯। এটি দেশের জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর। যেকোনো দুর্ঘটনার সম্মুখীন হলে জরুরি সেবা পেতে দেশের যেকোনো স্থান থেকে যে কেউ এই নম্বরে ফোন করতে পারেন। বাংলাদেশের পুলিশের অধীনে এই কল সেন্টার পরিচালিত হচ্ছে। এই নম্বরে ফোন করে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স সেবা কিংবা এ–সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যাবে। দিনরাত ২৪ ঘণ্টা এ কল সেন্টার চালু থাকে। তাই যেকোনো ফোন থেকে বিনা মূল্যে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করা যাবে।
২. স্থানীয় পুলিশ: ভ্রমণের সময়ে যদি কোন সমস্যা অথবা জরুরী অবস্থা তৈরি হয়, তাহলে আপনার পরিচিত স্থানীয় পুলিশের সাথে যোগাযোগ করা জন্য মোবাইল নম্বার সেভ বা লিখে রাখতে পারেন।
৩. বৃহৎ হাসপাতাল বা মেডিকেল সেন্টার: আপনি যদি যাত্রা করার সময়ে যে কোন অসুস্থতা অথবা জরুরী কোনো চিকিৎসা প্রয়োজন হয়, তাহলে স্থানীয় বড় হাসপাতাল বা মেডিকেল সেন্টারে সাথে যোগাযোগ করা জন্য নম্বার আপনার সাথে রাখতে পারেন।
৪. স্থানীয় এম্বুলেন্স সার্ভিস: ভ্রমন করার সময় আপনার সাথে যদি কেউ গুরুতর সড়ক দুর্ঘটনা
বা আহত হয় সেক্ষেত্রে জরুরী চিকিৎসা জন্য এম্বুলেন্স ডাকা লাগতে পারে। তাই স্থানীয় এম্বুলেন্স সার্ভিসে সাথে যোগাযোগ করা জন্য বেশ কিছু নাম্বার সাথে রাখা জরুরী।
৬. বাংলাদেশ স্বাস্থ্য সেবা: ভ্রমনের সময় অসুস্থ ব্যাক্তি প্রথমিক চিকিৎসা পেতে আপনি পরিচিত কোনো চিকিৎসককে ফোন করে পাচ্ছেন না; আবার কারও পরিচিত কোনো চিকিৎসক না–ও থাকতে পারে। এ পরিস্থিতিতে নিশ্চিন্তে ফোন করা যাবে স্বাস্থ্য বাতায়নের হেল্পলাইন ১৬২৬৩ নম্বরে। এটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পরিচালিত হেল্পলাইন। এই নম্বরে ফোন করে স্বাস্থ্যসংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে সরাসরি চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে আপনি পরামর্শ পেতে পারেন। দিনরাত ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে এই নম্বর। এ ছাড়া স্বাস্থ্য বাতায়ন থেকে সরকারি হাসপাতাল, ডাক্তারের তথ্য কিংবা স্বাস্থ্যসেবা–বিষয়ক অন্যান্য যেকোনো তথ্য ও ফোন নম্বর পাওয়া যাবে। যদি কোন চিকিৎসা প্রয়োজন হয় এবং যাত্রা করতে সমস্যা হয়, বাংলাদেশ স্বাস্থ্য সেবা (16263) হতে চিকিৎসা সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
যদি ভ্রমণের সময়ে দুর্ঘটনা হয়, আপনার কারো সাহায্য প্রয়োজন হয়, তাহলে রাস্তার আসে-পাশে মানুষের কাছে সাহায্য চান। এবং উপরে এই জরুরী নাম্বারগুলি ভ্রমণের সময়ে সাথে রাখুন যাতে আপনি সাহায্য চাইতে পারেন।




